Responsive image

Press Information Bureau

Government of India

Prime Minister's Office

গুজরাটের কেভাডিয়াতে জাতির উদ্দেশে ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ উৎসর্গ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On :31, October 2018 18:29 IST

 

আমি বলবো সর্দার প্যাটেল, আপনারা বলবেন – অমর রহে, অমর রহে।

সর্দার প্যাটেল – অমররহে, অমররহে।

সর্দার প্যাটেল – অমররহে, অমররহে।

সর্দার প্যাটেল – অমররহে, অমররহে।

আমি চাইবো আরেকটি শ্লোগান এই মাটি থেকে প্রত্যেক মুহূর্তে এদেশে গুঞ্জরিত হোক। আমি বলবো, দেশের একতা, আপনারা বলবেন, জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ!

দেশের একতা  - জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ! 

দেশের একতা- জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ! 

দেশের একতা - জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ! 

দেশের একতা - জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ! 

মঞ্চে উপস্থিত গুজরাটের রাজ্যপাল ওমপ্রকাশ কোহলি মহোদয়, রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপাণীজি, কর্ণাটকের রাজ্যপাল ওয়জুভাই অয়ালা মহোদয়, মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল মহোদয়া, সংসদে আমার সহযোগী এবং রাজ্যসভার সদস্য শ্রী অমিত ভাই শাহ, গুজরাটের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিন ভাই, বিধানসভার অধ্যক্ষ রাজেন্দ্রজি, দেশের নানাপ্রান্ত ও বিদেশ থেকে সমাগত সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, 

মা নর্মদার এই পবিত্র ধারার তটে সাতপুড়া এবং বিন্ধ্যের আঁচলে এই ঐতিহাসিক ক্ষণে আমি আপনাদের সকলকে, দেশবাসীকে, বিশ্বের সর্বত্র বসবাসকারী ভারতীয় এবং ভারতপ্রেমীদের প্রত্যেককে অভিনন্দন জানাই।

আজ গোটা দেশ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের স্মৃতিতে রাষ্ট্রীয় একতা দিবস পালন করছে। এই উপলক্ষ্যেআমাদের দেশের নবীন প্রজন্মের মানুষেরা দেশের কোণায় কোণায় রাষ্ট্রীয় একতা ও অখণ্ডতার জন্যে ‘একতার জন্যে দৌড়’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের অভিবাদন জানাই। আপনাদের মনের এই দেশভক্তির শক্তি দিয়েই আমাদের সভ্যতা ফলে, ফুলে বিকশিত হচ্ছে। বন্ধুগণ, যে কোনও দেশের ইতিহাসে এমন সময় আসে যখন তা সম্পূর্ণতার অনুভব এনে দেয়। আজ তেমনই একটি মুহূর্ত যা যে কোনও দেশের ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লেখার যোগ্য, আর যাকে কখনও  মেটানো যায় না! ভারতের পরিচয় তৈরি এবং ভারতের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন এমন বিরাট ব্যক্তিত্বকে যথোচিত সম্মান প্রদর্শনের ক্ষেত্রে একটি অসম্পূর্ণতা নিয়ে আমরা স্বাধীনতার পর থেকে এত বছর কাটিয়ে দিয়েছি!

 

আজ ভারতের বর্তমান, তার ইতিহাসের এক স্বর্ণিম পুরুষের কীর্তিকে সম্মান জানানোর কাজ করেছে। আজ যখন মাটি থেকে আকাশ পর্যন্ত সর্দার সাহেবের অভিষেক হচ্ছে, এর মাধ্যমে ভারত শুধুই নিজের জন্য একটি ইতিহাস রচনা করছে না, ভবিষ্যতের প্রেরণার গগনচুম্বী ভিত্তি স্থাপন করছে। এটা আমার সৌভাগ্য যে সর্দার সাহেবের এই বিশাল মূর্তি দেশকে সমর্পণ করার সুযোগ পেয়েছি। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এর কল্পনা করেছিলাম তখন স্বপ্নেও ভাবিনি যে একদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এর উদ্বোধন করার সুযোগ পাব। আমি নিজেকে সর্দার সাহেব ও দেশের কোটি কোটি জনগণের আশীর্বাদধন্য বলে মনে করি। আজ গুজরাটের জনগণ আমার হাতে যে অভিনন্দনপত্র তুলে দিয়েছে, তার জন্য আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। এই অভিনন্দনপত্র আমার জন্য শুধুই সম্মানপত্র নয়, যে মাটিতে আমি বড় হয়ে উঠেছি, আমার মা আমার পিঠে হাত রেখে যে সংস্কার, শক্তি, উৎসাহ এবং প্রাণশক্তি যুগিয়েছেন, এই অভিনন্দনপত্র তাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সম্মানপত্রে আমি আপনাদের সকলের পাশাপাশি আমার মায়ের আশীর্বাদও অনুভব করছি। ‘লোহা অভিযানে’র সময় আমাকে এক টুকরো লোহাও অর্পণ করা হয়েছে। আমেদাবাদ থেকে যখন আমরা অভিযান শুরু করেছিলাম, তখন যে পতাকা ওড়ানো হয়েছিল, সেটিও আমাকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। সেজন্য আমি গুজরাটের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞ। এই সমস্ত উপহার আমি এখানেই রেখে যাব যাতে আপনারা এগুলিকে এখানকার প্রদর্শনশালায় সাজিয়ে রাখতে পারেন যাতে পরবর্তী সময়ে পর্যটকরা এগুলি দেখতে পারেন।

 

আমার সেই পুরনো দিনগুলির কথা মনে পড়ছে, আর মন খুলে অনেক কিছু বলার ইচ্ছে করছে। আমার সেদিনের কথা মনে পড়ছে যখন সারা দেশের সমস্ত গ্রামের কৃষকদের থেকে মাটি চাওয়া হয়েছিল, আর ক্ষেতে বাতিল হয়ে যাওয়া পুরনো যন্ত্রপাতি একত্রিত করার কাজ চলছিল। এই সবকিছু নিজের হাতে তুলে দিয়ে সারা দেশের লক্ষ লক্ষ গ্রামের কোটি কোটি কৃষক পরিবার এই মূর্তি নির্মাণকে এক গণ-আন্দোলনে পরিণত করেছিলেন। তাঁদেরই দেওয়া পুরনো সরঞ্জামগুলি থেকে কয়েক হাজার মেট্রিক টন লোহা এই মূর্তির কাঠামো তৈরির কাজে লেগেছে।

 

বন্ধুগণ, আমার এটাও মনে আছে যখন এই প্রস্তাব আমি রেখেছিলাম, তখন এ নিয়ে অনেক আশঙ্কার আবহ গড়ে উঠেছিল। এই প্রথম আমি সে সম্পর্কে বলছি। প্রথম যখন আমার মনে এই কল্পনা এসেছিল, তখন আমি এখানে এরকম কোন পাহাড় খুঁজছিলাম, যে পাহাড় খোদাই করে সর্দার সাহেবের মূর্তি বের করে আনা যেতে পারে। কিন্তু অনেক অন্বেষণ ও পাহাড়ের মাটি পরীক্ষানিরীক্ষা করে জানা গেল যে এরকম খোদাই করে মূর্তি বের করার মতো পাহাড় পাওয়া যাবে না। এখানকার পাহাড়ের পাথর এতটা শক্তিশালী নয়। তখন আমার চিন্তা বদলাতে হল। আর আজ যে রূপে আপনারা দেখছেন, সেই ভাবনা জন্ম নিল। আমি নিয়মিত অনেকের সঙ্গে আলোচনা করে, তাঁদের পরামর্শ নিয়ে এই প্রকল্পটি গড়ে তুলেছিলাম। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি মানুষ তাঁদের পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের আস্থা ও সামর্থ্যকে একটি শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন।

 

ভাই ও বোনেরা, বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই মহাপুরুষের সাহস, সামর্থ্য ও সঙ্কল্পকে মনে করাবে। যিনি ভারতমাতাকে টুকরো টুকরো করার ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করার পবিত্র ব্রত পালন করেছিলেন। সেই সময় বিশ্ববাসী ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যেসব আশঙ্কা প্রকাশ করছিল, সেই সমস্ত আশঙ্কাকে বরাবরের জন্য সমাপ্ত করতে পেরেছিলেন যে মহাপুরুষ, সেই লৌহ পুরুষ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে আমি শত শত প্রণাম জানাই।

 

বন্ধুগণ, সর্দার সাহেবের সামর্থ্য তখনই দেশের কাজে লেগেছে, যখন ভারত মাতা সাড়ে পাঁচশোরও বেশি দেশীয় রাজন্যশাসিত রাজ্য আলাদা হয়ে যাওয়ার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। গোটা বিশ্বের সংবাদমাধ্যম ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশ ছিল। তারা ভাবছিল, এই বৈচিত্র্যের জন্যই ভারত টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। কিন্তু সেসব নিরাশার মধ্যেও তারা তাদের সামনে একটি আশার কিরণ ছিল। আর সেই আশার কিরণের নাম ছিল সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। সর্দার প্যাটেল কৌটিল্যের মতো কূটনীতিবিদ এবং শিবাজি মহারাজের মতো শৌর্যবান ছিলেন।তিনি ১৯৪৭-এর ৫ই জুলাই দেশীয় রাজন্যশাসিত রাজ্যগুলিকে সম্বোধন করে বলেছিলেন যে, “বিদেশি আক্রমণকারীদের সামনে আমাদের পারস্পরিক বিবাদ ও শত্রুতাই আমাদের পরাজয়ের কারণ ছিল। এখন আমাদের সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি দ্বিতীয়বার সেই দাসত্বের দিকে ঠেলে দেবে।” আমি মনে করি সর্দার সাহেবের সেই বাক্য আজও ততটাই প্রাসঙ্গিক।

 

সর্দার সাহেবের এই বার্তা দেশীয় রাজন্যবর্গকে ঐক্যের শক্তি অনুধাবন করতে সহায়ক হয়েছে। আর তাঁরা স্বেচ্ছায় ভারতে যোগদান করেছেন। সর্দার সাহেবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের কয়েকশ’ রাজ-রাজড়া একরকম ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। দেশের ঐক্যের স্বার্থে তাঁদের এই ত্যাগকেও আমাদের কখনও ভোলা উচিৎ নয়। আমার একটা স্বপ্ন আছে যে এই স্থানে দেশের সেই সাড়ে পাঁচশরও অধিক রাজ-রাজড়াদের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন সামগ্রীর প্রদর্শনশালা গড়ে তোলা। ভারচ্যুয়াল প্রদর্শনশালা তৈরি করলে আগামী প্রজন্মও দেশের ইতিহাস সঠিকভাবে জানতে পারবে। আজ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাউকে যদি একটি তহসিলের অধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হয়, আর তারপর বলা হয় যে তার শাসনকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগে পদ ছেড়ে দিতে হবে, তাহলেই দেখবেন কত বড় ঝড় উঠবে। আর এই রাজা-মহারাজারা শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে সঞ্চিত তাঁদের পূর্ব পুরুষদের সবকিছু দেশের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁদের সেই ত্যাগকেও আমাদের কখনও ভোলা উচিৎ নয়। তাঁদের কথাও মনে রাখতে হবে।

 

বন্ধুগণ, বিশ্ব একদিন যে দুর্বলতার কারণে আমাদের জন্য শঙ্কিত ছিল, তাকেই সর্দার সাহেব শক্তিতে পরিণত করার পথ দেখিয়েছিলেন। তাঁর প্রদর্শিত পথেই এগিয়ে ভারত আজ বিশ্ববাসীর সঙ্গে নিজের শর্তে বার্তালাপ করতে পারছে। ভারত আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক ও সামরিক শক্তি হিসাবে পরিচিত হতে চলেছে। এর পেছেনে সাধারণ কৃষকের জন্মগ্রহণ করা অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সর্দার সাহেবের অনেক বড় অবদান ছিল। অনেক চাপ, অনেক মতভেদ থাকা সত্ত্বেও তিনি দেশের প্রশাসনে সুশাসন স্থাপন করতে পেরেছিলেন। কচ্ছ থেকে কোহিমা, কার্গিল থেকে কন্যাকুমারী আজ আমরা কোনরকম বাধা ছাড়াই যাতায়াত করতে পারি। সর্দার সাহেবের সঙ্কল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এটি সম্ভব হয়েছে। তিনি এই সঙ্কল্প গ্রহণ না করলে দেশবাসীকে কতটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হত তার কল্পনা করুন! আজ গির-এর সিংহ দেখতে হলে, সোমনাথে পুজো দিতে হলে, হায়দরাবাদের চারমিনার দেখতে হলে যে কোন ভারতীয়কে ভিসা নিয়ে যেতে হত। সর্দার সাহেবের সঙ্কল্প বাস্তবায়িত না হলে আজ কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী সরাসরি ট্রেন সফরের কথা কল্পনাও করা যেত না। সর্দার সাহেবের সঙ্কল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশের মধ্যে অখণ্ড সিভিল সার্ভিসেসের মতো প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।

 

ভাই ও বোনেরা, ১৯৪৭-এর ২১শে এপ্রিল অল ইন্ডিয়া অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেসের ভবিষ্যৎ আইএএস, আইপিএস এবং আইএফএস প্রবেশনার্সদের সম্বোধন করতে গিয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বলেছিলেন যে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসেসে ইন্ডিয়া, সিভিল এবং সার্ভিস কোনটাই নেই। সেজন্য যুবকদের দেশের কথা ভেবে নতুনভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে ভারতীয় প্রশাসনিক সেবার গৌরব বৃদ্ধি করতে হবে। অল ইন্ডিয়া অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেসকে ভারতের নবনির্মাণের অগ্রদূত হতে হবে। সর্দার সাহেবের এই প্রেরণাই ভারতের প্রশাসনিক সেবায় ইস্পাত পরিকাঠামো গড়ে তোলে।

 

ভাই ও বোনেরা, ভারতের ইতিহাসের সবথেকে জটিল সময়ে সর্দার প্যাটেলকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী করা হয়েছিল। সমস্ত ব্যবস্থার পুনর্নিমাণের এবং অবিন্যস্ত আইন ব্যবস্থাকে সামলানোর দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। সেই কঠিন পরিস্থিতি থেকে দেশকে বের করে এনে তিনি আমাদের আধুনিক পুলিশ ব্যবস্থার ভিত্তি গড়ে তুলেছিলেন। বন্ধুগণ, দেশের গণতন্ত্রে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করার জন্য সর্দার সাহেব সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। মহিলাদের দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের অধিকার প্রদানের পেছনেও সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। পঞ্চায়েত এবং পুরসভাগুলির নির্বাচনে দেশের মা ও বোনেদের তখন অংশগ্রহণের অধিকার ছিল না। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সর্দার সাহেবই প্রথম প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তাঁর উদ্যোগেই স্বাধীনতার কয়েক দশক আগে এই ভেদাভেদ দূর করার পথ উন্মোচিত হয়েছিল। তাঁরই উদ্যোগে আজ সমস্ত জনগণের ‘মৌলিক অধিকার’ ভারতীয় গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।

 

বন্ধুগণ, এই মূর্তি সর্দার সাহেবের সেই পণ, প্রতিভা, পৌরুষ এবং সঙ্কল্প ভাবনার প্রতীক। এই মূর্তি তাঁর সামর্থ্য এবং সমর্পণকে সম্মান জানিয়ে নতুন ভারতে নতুন আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার প্রতীক। এই মূর্তি ভারতের অস্তিত্বের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশকারীদের প্রতি মুহূর্তে মনে করাবে যে দেশ শাশ্বত ছিল, শাশ্বত আছে এবং শাশ্বত থাকবে।

 

এই মূর্তি দেশের সেই কৃষকদের আত্মাভিমানের প্রতীক যাঁদের ক্ষেতের মাটি এবং যাঁদের কৃষির সরঞ্জামের লোহা দিয়ে এই মূর্তির মজবুত কাঠামো গড়ে উঠেছে। এই মূর্তি তাঁদের প্রতি মুহূর্তে বিভিন্ন সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে ফসল উৎপন্ন করার ভাবনাকে দৃঢ়তা প্রদান করবে। এই মূর্তি সেই আদিবাসী ভাই-বোনদের অবদানের স্মারক যাঁরা স্বাধীনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে দেশের উন্নয়ন যাত্রায় নিজেদের বহুমূল্য অবদান রেখেছেন। এই উচ্চতা ভারতের যুব সম্প্রদায়কে সর্বদা মনে করাবে যে ভবিষ্যতের ভারত, আপনাদের আকাঙ্ক্ষার ভারত এতটাই বিশাল। এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের সামর্থ্য এবং মন্ত্র একটা, শুধু একটাই হতে পারে – ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’, ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’, ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’।

 

বন্ধুগণ, স্ট্যাচু অফ ইউনিটি আমাদের কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত সামর্থ্যেরও প্রতীক। বিগত প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে প্রতিদিন গড়ে আড়াই হাজার শ্রমিক ও শিল্পী মিশন মোডে কাজ করেছেন। কিছুক্ষণ পর আমরা যাঁকে সম্মানিত করব, তিনি দেশের গণ্যমান্য শিল্পী নবতিপর শ্রীযুক্ত রাম সুতার। তাঁরই নেতৃত্বে দক্ষ শিল্পীদের দল এই অতুলনীয় গৌরবময় স্মারক গড়ে তুলেছে। মনে ‘মিশন’ ভাবনা নিয়ে রাষ্ট্রীয় একতার প্রতি সমর্পণ ভাব নিয়েই এত দ্রুত এই কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। সর্দার সরোবর বাঁধের শিলান্যাস কবে হয়েছিল, আর কত দশক পর তার উদ্বোধন হয়েছে তাতো আপনারা নিজেদের চোখের সামনেই দেখেছেন। এই মহান শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক শ্রমিক, শিল্পী এবং প্রযুক্তিবিদকে আমি তাঁদের অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। সর্দার সাহেবের এই মূর্তির সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এর নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের নাম ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিল।

 

বন্ধুগণ, আট বছর আগে আজকের দিনে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, আজ এই সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১০-এর ৩১শে অক্টোবর আমি আমেদাবাদে এই ইচ্ছার কথা সকলের সামনে বলেছিলাম। কোটি কোটি ভারতবাসীর মতো আমার মনেও একটি ভাবনা ছিল যে মহাপুরুষ দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এতবড় কাজ করেছেন, তাঁকে অবশ্যই যথাযোগ্য সম্মান জানানো উচিৎ। আমার ইচ্ছা ছিল যে এই সম্মানও তাঁকে কৃষক এবং শ্রমিকদের ঘামের বিনিময়ে প্রদান করা হবে যাঁদের জন্য সর্দার প্যাটেল সারা জীবন লড়াই করে গেছেন। বন্ধুগণ, সর্দার প্যাটেল খেড়া থেকে বারদোলি অঞ্চলের কৃষকদের শোষণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন, সত্যাগ্রহ করেছিলেন এবং তাঁদের দাবি আদায় করে ছেড়েছিলেন। আজ যে সমবায় আন্দোলন দেশের অনেক গ্রামের অর্থ ব্যবস্থার শক্তিশালী ভিত্তি হয়ে উঠেছে, তা সর্দার সাহেবেরই দূরদৃষ্টির পরিণাম।

 

বন্ধুগণ, সর্দার প্যাটেলের এই স্মারক তাঁর প্রতি কোটি কোটি ভারতবাসীর সম্মান প্রদর্শন এবং সামর্থ্যের প্রতীক তো বটেই, এ দেশের অর্থ ব্যবস্থায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে হাজার হাজার আদিবাসী ভাই-বোনেদের প্রতি বছর প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে। সাতপুড়া এবং বিন্ধের এই এলাকার মানুষকে প্রকৃতি যা কিছু দিয়েছে, তা এখন আধুনিক রূপে আপনাদের কাজে লাগবে। দেশের যে অরণ্যগুলি সম্পর্কে অনেক কবিতা লেখা হয়েছে, গোটা বিশ্বের পর্যটকরা এখন সেসব অরণ্য ও জনজাতি পরম্পরার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে মিলিত হতে পারবেন। আমি আরেকবার গুজরাট সরকারের প্রশংসা করব যে তারা এই মূর্তির চারপাশের সমস্ত অঞ্চলকে পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে বিকশিত করছে। যে নতুন ফুলের উপত্যকা গড়ে উঠেছে তা এই স্মারকের আকর্ষণকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। আর আমি চাইব যে এখানে এমন একটি একতা নার্সারি গড়ে তোলা হোক, যেখানে ঘুরতে আসা প্রত্যেক পর্যটককে একটি করে ঐক্যের বৃক্ষ কিংবা গুল্মের চারা উপহার দেওয়া হবে। ঐ ঐক্যের গাছে তাঁরা নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজের মাটিতে বপন করে জাতীয় ঐক্যের ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হবেন। পাশাপাশি, পর্যটন এখানকার প্রতিটি মানুষের জীবনকে বদলে দেবে।

 

বন্ধুগণ, এই জেলার পরম্পরাগত জ্ঞান অত্যন্ত সমৃদ্ধ। স্ট্যাচু অফ ইউনিটিকে কেন্দ্র করে যে নতুন পর্যটন শিল্প গড়ে উঠবে, তার মাধ্যমে এই অঞ্চলের পরম্পরাগত জ্ঞানেরও প্রসার ঘটবে। সারা পৃথিবীতে এই অঞ্চলের একটি নতুন পরিচয় গড়ে উঠবে। আমি যেহেতু এই অঞ্চলের সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে যুক্ত রয়েছি, আমি অনেক কিছু জানি। এখানকার চাল থেকে তৈরি হওয়া উনা-মান্ডা, তহলা-মান্ডা, ঠোকালা-মান্ডা-র মতো খাবার পর্যটকদের খুবই ভালো লাগবে। এভাবেই এই অঞ্চলে খাতি ভিন্ডির মতো অনেক ঔষধি গুণসম্পন্ন ভেষজ গাছগাছালি খুব ফলে যেগুলির খ্যাতি এখন অনেক দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়বে। সেজন্যে আমার বিশ্বাস, এই স্মারক এই অঞ্চলের কৃষিকে উন্নত করতে, জনজাতি জীবনকে উন্নত করতে নানা গবেষণার কেন্দ্রও হয়ে উঠবে।

 

বন্ধুগণ, বিগত চার বছরে কেন্দ্রীয় সরকার এই মহাপুরুষের অবদানকে স্মরণ করার জন্য একটি বড় অভিযান শুরু করেছে। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম তখনই আমার এ নিয়ে আগ্রহ ছিল। আমাদের পুরনো সংস্কৃতি এবং সংস্কার থেকেই সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের এই গগনচুম্বী মূর্তির কল্পনা। তাঁর স্মৃতিতে আমরা দিল্লীতে আধুনিক প্রদর্শনশালা গড়ে তুলেছি। গান্ধীনগরে মহাত্মা মন্দির এবং ডান্ডি কুটীর, বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের পঞ্চতীর্থ নির্মাণ, হরিয়ানায় কৃষক নেতা স্যর ছোটুরামের উচ্চতম মূর্তি নির্মাণ, কচ্ছের মাণ্ডবিতে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পুরোধা, গুজরাটের সুসন্তান শ্যামজি কৃষ্ণবর্মার স্মারক নির্মাণ এবং আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনদের বীর নায়ক গোবিন্দ গুরুর শ্রদ্ধাস্থল নির্মাণ – এমনই অনেক মহাপুরুষদের স্মারক আমরা বিগত বছরগুলিতে গড়ে তুলেছি।

 

তাছাড়া, দিল্লীতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতিতে আলাদা সংগ্রহালয়, মুম্বাইয়ে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের সুউচ্চ মূর্তি নির্মাণ এবং আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের জনজাতি নায়কদের স্মৃতিতে সংগ্রহালয় গড়ে তুলে ইতিহাস পুনরুজ্জীবনের কাজ আমরা করে চলেছি। বাবাসাহেবের অবদানকে মনে রেখে প্রতি বছর ২৬শে নভেম্বর দেশব্যাপী সংবিধান দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হোক কিংবা নেতাজির নামে জাতীয় সম্মান চালুই হোক – আমাদের সরকারই এই সমস্ত কিছু শুরু করেছে। কিন্তু বন্ধুগণ আমি অবাক হই যখন দেখি আমাদের এই অভূতপূর্ব কাজগুলিকে কেউ কেউ রাজনীতির চশমা দিয়ে দেখার দুঃসাহস করে।

 

সর্দার প্যাটেলের মতো মহাপুরুষদের প্রশংসা করলেও আমার সমালোচনা করা হয়। যেন আমি কোন অপরাধ করে ফেলেছি। আমি আপনাদের জিজ্ঞাসা করতে চাইছি, দেশের সুপুত্রদের স্মরণ করা কি অপরাধ? বন্ধুগণ, আমরা চাই যে ভারতের প্রত্যেক রাজ্যের নাগরিক সর্দার প্যাটেলের দূরদৃষ্টি এবং দর্শনকে বুঝে নিজেদের সামর্থ্য বৃদ্ধির প্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করুক। ভাই ও বোনেরা, সর্দার প্যাটেল স্বাধীন ভারতে যে ধরণের গ্রামের কল্পনা করেছিলেন তা তিনি স্বাধীনতার তিন-চার মাস আগে বিট্টলভাই কলেজের উদ্বোধনের সময় বলেছিলেন। আমরা তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে উন্নত পদ্ধতিতে গ্রামে গ্রামে গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণ করছি। সর্দার সাহেব তখনই দেশের গ্রামগুলিকে খোলা জায়গায় শৌচকর্ম মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ করার পথে আজ আমরা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছি। সেই গণ-অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই দেশ ইতিমধ্যেই গ্রামীণ স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ সাফল্য পেয়েছে।

 

ভাই ও বোনেরা, সর্দার প্যাটেল একটি শক্তিশালী, সতর্ক, ঐক্যবদ্ধ ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ণের জন্য সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেশের প্রত্যেক গৃহহীনের জন্য গৃহ নির্মাণ, স্বাধীনতার পর থেকে সাত দশকেও যে ১৮০০০ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি, সেই গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। দেশের প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য দিন-রাত কাজ চলছে। দেশের প্রত্যেক গ্রামে সড়ক পথ, অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক এবং ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশের প্রত্যেক বাড়িতে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া, প্রত্যেক বাড়িতে শৌচালয় নির্মাণের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

 

সম্প্রতি আমরা শুরু করেছি বিশ্বের সর্ববৃহৎ জনস্বাস্থ্য প্রকল্প – আয়ুষ্মান ভারত। কেউ কল্পনা করতে পারেন যে, আমেরিকা, মেক্সিকো এবং কানাডার মিলিত জনসংখ্যার থেকেও বেশি গরিব মানুষ এই প্রকল্প দ্বারা উপকৃত হতে চলেছেন। ভারতের বাইরে অনেকে এই প্রকল্পকে ‘মোদী কেয়ার’ বলছে। এটি ‘সুস্থ ভারত’ গড়ার পথে একটি বড় পদক্ষেপ।‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ – এই মন্ত্র নিয়ে একটি শক্তিশালী ভারত গড়ে তোলার পথে আমরা এগিয়ে চলেছি।

 

ভাই ও বোনেরা, সর্দার সাহেব যেমন দেশীয় রাজন্যশাসিত রাজ্যগুলিকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করে রাজনৈতিক ঐক্য স্থাপন করেছে, তেমনই আমাদের সরকার জিএসটির মাধ্যমে দেশের আর্থিক ঐক্য সুনিশ্চিত করেছে। জনগণের ‘এক জাতি এক কর’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে। কৃষকদের দেশব্যাপী কৃষি মান্ডিগুলির সঙ্গে যুক্ত করার প্রকল্প ‘ই-ন্যাম’, ‘এক জাতি এক গ্রিড’-এর প্রকল্প, ‘ভারতমালা’, ‘সেতু ভারতম’, ‘ভারত নেট’ – এরকম অনেক প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে অদূর ভবিষ্যতেই সর্দার সাহেবের ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার পথে আমরা এগিয়ে চলেছি।

 

বন্ধুগণ, আজ আমরা দেশের জন্য চিন্তা করা যুবশক্তির বলে বলীয়ান। এই পথেই এগিয়ে গেলে দেশের ঐক্য, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার যে দায়িত্ব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আমাদের সমর্পণ করে গেছেন, তা বাস্তবায়িত করতে পারব। সর্দার সাহেবের সঙ্কল্পকে পবিত্রভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মনে সঞ্চারিত করার জন্য আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে।

 

বন্ধুগণ, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বলতেন, প্রত্যেক ভারতীয়কে এটা ভুলতে হবে যে তিনি কোন জাতি এবং বর্গের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁকে শুধু মনে রাখতে হবে যে তিনি ভারতীয়। দেশের প্রতি তাঁর যতটা অধিকার আছে, ততটাই কর্তব্যও রয়েছে। সর্দার সাহেবের এই শাশ্বত ভাবনা এই সুউচ্চ মূর্তির মতোই আমাদেরকে প্রেরণা যুগিয়ে যাবে এবং এই কামনা নিয়েই এই স্ট্যাচু অফ ইউনিটিকে সমর্পণ করছি। এটি শুধু ভারত নয়, মা নর্মদার তটকে গোটা বিশ্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনস্থল করে তুলবে। মা নর্মদা এবং তাত্ত্বিক উপত্যকায় বসবাসকারী প্রত্যেক জনজাতির ভাই-বোনদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য আমি আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানাই।

 

এই উপলক্ষে সমগ্র দেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ যে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের প্রাণশক্তি নিয়ে এটি একটি ‘একতার তীর্থ’ হিসেবে গড়ে উঠেছে। আমরা এগবো এবং পাশাপাশি অন্যদেরকেও এগিয়ে যেতে সাহায্য করব – এই ভাবনাই ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারে।

 

আমার সঙ্গে বলুন –

 

সর্দার প্যাটেল – জয় হো।

সর্দার প্যাটেল – জয় হো।

 

দেশের ঐক্য জিন্দাবাদ।

দেশের ঐক্য জিন্দাবাদ।

দেশের ঐক্য জিন্দাবাদ।

দেশের ঐক্য জিন্দাবাদ।

দেশের ঐক্য জিন্দাবাদ।

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

 

CG/SB/DM